আজকের খেলা ডেস্ক:
ক্রিকেটারদের স্ত্রীদের সঙ্গে রাখা নিয়ে ক্রিকেটার ও বোর্ডের কর্মকর্তাদের মধ্যে মতবিরোধ নতুন নয়। কিন্তু নিজের কাছে রাখতে গিয়ে কোনো ক্রিকেটার যে তার স্ত্রীকে হোটেলের আলমারিতে লুকিয়ে রাখতে পারেন, এমন ঘটনা অনেকটা বিরলই বলা যায়। এমনই ঘটনা ঘটেছিল পাকিস্তানের বিখ্যাত স্পিনার সাকলাইন মুস্তাকের খেলোয়াড় জীবনে। তাও আবার বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাত্কারে নিজেই সে কথা জানিয়েছেন তিনি। সাকলাইন মুস্তাক জানিয়েছেন, ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে স্ত্রীদের সঙ্গেই হোটেলে থাকার অনুমতি পেয়েছিলেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু টুর্নামেন্টের মাঝপথে পাকিস্তান বোর্ড থেকে হঠাৎই স্ত্রীদের সঙ্গে রাখা যাবে না বলে নির্দেশ আসে। যাতে আপত্তি ছিল সাকলাইন মুস্তাকের। কারণ সেই সময় টুর্নামেন্টে দল ভালো খেলছিল, সবকিছু ঠিকঠাকও চলছিল। বোর্ডের নির্দেশ নিয়ে নিজের আপত্তির কথা তিনি দলের কোচ রিচার্ড পাইবাসকেও জানিয়েছিলেন। যদিও সাকলাইনের এই আপত্তি মানতে চায়নি বোর্ড। এর পরই স্ত্রীকে ঘরের আলমারিতে লুকিয়ে রাখার ফন্দি করেন তিনি।
সাকলাইন মুস্তাক জানিয়েছেন, যখনই দলের ম্যানেজার, কোচ বা অন্য কোনো বোর্ড কর্মকর্তা ক্রিকেটারদের ঘর পরিদর্শনে আসতেন, তখন স্ত্রীকে আলমারির মধ্যে ঢুকিয়ে দিতেন তিনি। সতীর্থরা ঘরে আড্ডা মারতে এলেও একই পথ নিতেন সাকলাইন।
প্রাক্তন এই স্পিনার বলেন, এভাবেই একদিন এক বোর্ড কর্মকর্তা আমার ঘর পরিদর্শনে আসেন। দরজায় ধাক্কা শুনে স্ত্রীকে আলমারির মধ্যে লুকিয়ে রাখি। ওই বোর্ড কর্মকর্তা চলে যাওয়ার পর আমার দুই সতীর্থ আজহার মাহমুদ এবং ইউসুফ ঘরে আসেন। তারাও বোর্ডের এই নতুন নিয়ম নিয়ে কথা বলতে এসেছিলেন। কিন্তু তারা সন্দেহ করেন যে আমার সঙ্গে আমার স্ত্রী রয়েছে। তাদের জোরাজুরিতেই আমি স্ত্রীকে আলমারি থেকে বেরিয়ে আসতে বলি।
সাকলাইন মুস্তাক জানান, এই ঘটনার পর পরই ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পাকিস্তান হেরে যায়। ফলে দলের সবাই মুষড়ে পড়েন। পরিস্থিতিও থমথমে হয়ে যায়। হোটেলে ফিরেই তিনি স্ত্রীকে লন্ডনে তার অ্যাপার্টমেন্টে চলে যেতে বলেন। সাকলাইন অবশ্য জানিয়েছেন, স্ত্রী সঙ্গে থাকলেও দলের প্রতি তার দায়িত্ব যথাযথভাবেই পালন করতেন তিনি।