আজকের খেলা ডেস্ক:
শ্রীলঙ্কা– সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী মন্তব্য করেন- ‘২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনাল ভারতের কাছে বিক্রি করেছে শ্রীলঙ্কা।’ এই মন্তব্যের পর পুরো ক্রিকেট বিশ্বেই তোলপাড়। এ নিয়ে শ্রীলঙ্কা পুলিশের বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থা তদন্তও শুরু করেছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই আজ (৩ জুলাই) বিকেলের দিকে তারা তদন্তের সমাপ্তি ঘোষণা করে।
শ্রীলঙ্কান পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তদন্ত সমাপ্তি ঘোষণা করার পরই এ নিয়ে বক্তব্য এলো আইসিসির কাছ থেকে। আইসিসির দুর্নীতি দমন সংস্থা অ্যান্টি করাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিট (আকসু) ঘোষণা দিয়েছে, ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালের বিশুদ্ধতা নিয়ে সন্দেহ করার কোনো অবকাশ নেই। ওই ম্যাচ নিয়ে কোনো ধরনের ফিক্সিংয়ের ঘটনা ঘটেনি।
২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালে মুম্বাইর ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ২৭৪ রান করার পর স্বাগতিক ভারতের কাছে ৬ উইকেটে পরাজিত হয়েছে শ্রীলঙ্কা। ওই ম্যাচ নিয়ে লঙ্কান সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী মহিন্দানন্দ আলুথগামাকে বিস্ফোরক অভিযোগ করে বসেন। বলেন, তিনি জানেন, শ্রীলঙ্কা সেই ফাইনাল ভারতের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিল।
সেই অভিযোগ তদন্ত করার জন্যই গঠন করা হয় পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের তদন্ত কমিটি। ফিক্সিংয়ের অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে ২০১১ বিশ্বকাপের আগে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক অরবিন্দ ডি সিলভা, তখনকার অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা এবং ওপেনার উপুল থারাঙ্গাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এসআইইউ।
সর্বশেষ ২০১১ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বৃহস্পতিবার। টানা ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর পরই তদন্ত সমাপ্তের ঘোষণা দেয়া হয়। তারা জানিয়েছে, তদন্তে ফিক্সিং প্রমাণ করার মতো কিছুই পায়নি। সুতরাং, এই তদন্ত আর চালানোর কোনো প্রয়োজন নেই। এখানেই সমাপ্তি ঘোষণা করা হল।
জিজ্ঞাসাবাদেই সাঙ্গাকারা শ্রীলঙ্কার গোয়েন্দা পুলিশকে বলেছিলেন, কেসটা আইসিসির দুর্নীতি দমন শাখার ওপর ছেড়ে দিতে। আইসিসিই এ বিষয়টা নিয়ে তদন্ত করুক। এরপরই আইসিসি এ বিষয়টা নিয়ে তাদের বক্তব্য তুলে ধরলো।
আইসিসির আকসু জেনারেল ম্যানেজার অ্যালেক্স মার্শাল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালের বিশুদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো অবকাশ নেই। ওই বিশ্বকাপের ফাইনাল নিয়ে সম্প্রতি যে অভিযোগ উঠেছে, সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল আইসিসি। সেই অভিযোগ প্রমাণ করা কিংবা একে একেবারে উড়িয়ে দেয়ার মতো কোনো প্রমাণাদি আমাদের হাতে নেই। কিংবা আইসিসির অ্যান্টি করাপশন কোডের অধীনে এই অভিযোগের এমন কোনো ভিত্তিও নেই যে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করতে হবে।’
সাবেক শ্রীলঙ্কান ক্রীড়ামন্ত্রী আলুথগামাগে দাবি করেছিলেন, তিনি যে অভিযোগ তোলেন সে সম্পর্কে আইসিসি তাকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। কিন্তু মার্শাল এই দাবিকে পুরোপুরি উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে শ্রীলকার সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রীকে কোনো চিঠি পাঠানোর রেকর্ড আমাদের নেই। আইসিসির সিনিয়র কর্মকর্তারাও নিশ্চিত করেছেন যে, তারাও এ বিষয়ে তদন্ত সম্পর্কিত কোনো চিঠি কাউকে দেনওনি, কারও কাছ থেকে রিসিভও করেননি।’