আজকের খেলা ডেস্ক:
বৈশ্বিক মহামারি করোনায় স্তব্ধ বিশ্ব। এর মধ্যে বন্দি হয়ে পড়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। গুনে গুনে ১১৬ দিন পর বুধবার (৮ জুলাই) মাঠে শুরু হচ্ছে ব্যাট-বলের লড়াই। যদিও করোনার দাপট কমেনি, এর মধ্যেই এদিন শুরু হতে যাচ্ছে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। সাউদাম্পটনে সিরিজের প্রথম টেস্টটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায়।
চলতি বছরের ১৩ মার্চ সিডনিতে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে খেলেছিল অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড। রুদ্ধদ্বার স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচটি ৭১ রানে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেটিই ছিল, সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ওই ম্যাচের পরই করোনার কারণে সিরিজটি স্থগিত হয়ে যায়। এরপর আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়নি।
কাল থেকে আবারো ক্রিকেট মাঠে ফিরছে, এতেই স্বস্তি ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের। তারপরও মনের মধ্যে নানা প্রশ্ন তো থাকছেই। কারণ এই টেস্টকে ঘিরে ব্যাপক আয়োজন ইসিবির। আয়োজনের পুরোটা জুড়েই রয়েছে সুরক্ষা বলয়। ক্রিকেটার-স্টাফ থেকে শুরু করে ধারাভাষ্যকার, কর্মকর্তা, সবাইকে রাখা হচ্ছে সুরক্ষিত ও জীবাণুমুক্ত পরিবেশে। সাউদাম্পটনের মাঠের পাশেই রয়েছে হোটেল। সেখানেই থাকছেন ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকারসহ সবাই। ধারাভাষ্য কক্ষে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা হবে। ধারাভাষ্যের মাঝে নিজের রুমের ব্যালকনিতে বসে খেলা দেখতে পারবেন তারা।
খেলোয়াড়দের জন্য রাখা হয়েছে, সর্বোচ্চ চিকিৎসাব্যবস্থা। খেলা চলাকালীন কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে, তাকে সব ধরনের চিকিৎসা দিতে প্রস্তুত সাউদাম্পটনের কর্মকর্তারা। মাঠের চারপাশে হ্যান্ড-স্যানিটাইজারের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। এই টেস্টকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখছেন ইসিবির প্রধান নির্বাহী টম হ্যারিসন। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেট মাঠে ফিরছে, এতেই আমরা খুশি। তবে আমাদের ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে আগামীকাল থেকে শুরু হওয়া ম্যাচটি। সব কিছু ঠিকঠাক সম্পন্ন করতে হবে আমাদের। আমরা প্রস্তুত। সব ধরনের সুরক্ষা বলয় নিয়ে আমরা তৈরি।’
ইংল্যান্ডের জন্য যে এটি চ্যালেঞ্জের, সেটি বলতে দ্বিধাবোধ করেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স। এই টেস্টটি বিশ্ব ক্রিকেটের জন্য বড় ধরনের উদাহরণ হবে বলে জানান তিনি, ‘ইংল্যান্ডে এই টেস্ট ম্যাচ উদাহরণ হতে চলেছে। এটা অন্যদের দেখিয়ে দিতে পারে, কঠিন সময়ে কিভাবে খেলা সম্ভব।’