আজকের খেলা ডেস্ক:
বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে ঘরবন্দি ক্রিকেট। এই বন্দিদশা কাটিয়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাড্ডার ফর্টিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে অনুশীলন করেন মুশফিকুর রহিম। তাকে অনুসরণ করে খোলা মাঠে অনুশীলন করতে আগ্রহ প্রকাশ দেখান কেউ কেউ। খোলা মাঠে অনুশীলন করতে আগ্রহী ক্রিকেটারদের আর ফর্টিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে যাওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে না। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামেই প্র্যাকটিসের সুযোগ করে দিচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ক্রিকেটারদের কাছে অনুশীলনে আগ্রহীদের নাম চাওয়া হয়েছে সোমবার। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানান, শনিবার পর্যন্ত নাম জমা দেওয়ার সুযোগ পাবেন খেলোয়াড়রা।
জুন মাসের শুরুতে একক অনুশীলনের অনুমতি চেয়ে বিসিবির কাছে অনুমতি চেয়ে প্রত্যাখ্যাত হন মুশফিক। জাতীয় দলের আরও অনেকের আগ্রহ ছিল শেরেবাংলায় অনুশীলন করার। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটাররাও সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানান, স্টেডিয়ামগুলোকে জীবাণুমুক্ত করার জন্য তখন অনুমতি দেওয়া হয়নি।
কিছুদিন আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি জানায়, ঢাকা ও ঢাকার বাইরের ভেন্যুগুলো জীবাণুমুক্ত করে অনুশীলনের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন তারা। গতকাল (১৪ জুলাই) জানালেন অনুশীলনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার বিষয়টি। এবার ক্রিকেটারদের সাড়া দেওয়ার পালা।
ঢাকায় অবস্থানরত ক্রিকেটারদের বেশিরভাগ করেন ‘হোম ফিটনেস ট্রেনিং’। জাতীয় দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোও চান ক্রিকেটাররা ইনডোর ফিটনেস ট্রেনিংয়ে থাকুন। সোমবার দুপুরে ভার্চুয়াল সভায় সে রকম নির্দেশনাও দেন কোচ। খেলোয়াড়দের উন্মুক্ত স্থানে অনুশীলন করতে নিরুৎসাহী করেছেন তিনি। পাশাপাশি ক্রিকেটারদের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন স্কিল ক্যাম্প শুরু হলে লম্বা সময় ট্রেনিংয়ের সুবিধা করে দেওয়ার।
কোচের এই প্রতিশ্রুতির পর মাঠে একক অনুশীলনের আগ্রহে ভাটা পড়তে পারে। অথচ কিছুদিন আগেও অনুশীলনের সুযোগ করে দিতে খেলোয়াড়দের দিক থেকে চাপ ছিল বলে জানান বিসিবি কর্মকর্তারা। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘সুযোগ-সুবিধাগুলো পর্যবেক্ষণ করতে গতকাল (সোমবার) স্টেডিয়ামে গিয়েছিলাম। সবকিছু প্রস্তুত করে জুম মিটিংয়ে খেলোয়াড়দের জানিয়েছি, চাইলে প্র্যাকটিস করতে পারবে তারা। নাম পেলেই আমরা গ্রুপ করে দেবো।’
শনিবার পর্যন্ত নাম জমা দেওয়ার সময় পাবেন ক্রিকেটাররা। যদিও বিসিবি সিইওর কথায় বোঝা যাচ্ছে, একক অনুশীলনে আগ্রহ কম পুলের ক্রিকেটারদের। তিনি বলেন, ‘সাব্বির খান (ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ম্যানেজার) জানাল, ব্যক্তিগতভাবে প্র্যাকটিস করতে বেশিরভাগ ক্রিকেটার রাজি না। দু-একজন রাজি। আমরা যে জিনিসগুলো বাসায় সরবরাহ করেছি ওগুলো দিয়েই কাজ চালিয়ে নেবে বলেছে তারা।’ ক্রিকেটাররা সাড়া দেন বা না দেন সবদিক থেকে প্রস্তুত রয়েছে বিসিবি।