আজকের খেলা ডেস্ক:
করোনাভাইরাসের কারণে চার মাস ঘরবন্দি বাংলাদেশের ক্রিকেট। আজ (১৯ জুলাই) কাটল বন্দিদশা। করোনার কারণে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) তৈরি করা অনেক নতুন শর্ত মেনে মাঠে ঢুকলেক খেলোয়াড়রা। মোট নয়জন খেলোয়াড় এদিন দেশের চারটি ভেন্যুতে ব্যক্তিগত অনুশীলন করেন। প্রথম দিন মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ঘাম ঝরান উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম, মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিথুন ও পেসার শফিউল ইসলাম।
এর আগে খেলোয়াড়দের জন্য অনুশীলন সূচি পাঠিয়েছিলে বিসিবি এবং খেলোয়াড়দের এটি মেনে চলতে বলা হয়েছে। মিরপুরের দুই নম্বর গেট দিয়ে মাঠে প্রবেশ করেন খেলোয়াড়রা। স্টেডিয়ামে গিয়ে মোহাম্মদ মিথুন দেখতে পান গেটটি বন্ধ। সেখান থাকা নিরপত্তাকর্মী তাকে পাঁচ নম্বর গেট দিয়ে ঢুকতে বলেন। যেখানে তার শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা এবং তার হাতে স্যানিটাইজ করা হয়। শুধুমাত্র মিথুন নয়, মুশফিকুর ও শফিউলকেও এই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে মাঠে।
বেলা ১১টায় স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেন শফিউল। আপতত তাকে বোলিং করার অনুমতি দেয়নি বিসিবি। তারা যে গাড়িগুলো নিয়ে এসেছিল, সেগুলোও ভালোভাবে স্যানিটাইজ করা হয়। মিরপুর ছাড়া অন্য মাঠগুলোয়ও সব খেলোয়াড়দের একই প্রক্রিয়ায় ঢুকতে হয়েছে। খেলোয়াড়দের সাথে স্টেডিয়ামে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। এমনকি, খেলোয়াড়দের অনুশীলন কভার করতে এসে অন্য জায়গায় অবস্থান করেছেন সাংবাদিকরা।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেন অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ, মেহেদি হাসান ও উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেন পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও স্পিনার নাসুম আহমেদ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলনের সূচি ছিল অফ-স্পিনার নাইম হাসানের। কিন্তু বৃষ্টির কারণে অনুশীলনে নামতে পারেননি নাসুম।
মিরপুরে তিন খেলোয়াড়ের অনুশীলন দেখভাল করেছেন বিসিবির প্রশিক্ষক তুষার কান্তি হাওলাদার। ব্যাটিং অনুশীলনের জন্য বোলিং মেশিনে বল দেয়ার জন্য সেখানে অল্প সংখ্যক মানুষ ছিল এবং সকলেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেন। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরি বলেন, ‘আমরা সকল স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার চেষ্টা করছি এবং খেলোয়াড়দের সুরক্ষার জন্য সামাজিক দূরত্ব মানা হয়েছে। খেলোয়াড়সহ অন্যান্যরাও নিয়মগুলো অনুসরণ করেছেন। আশা করছি, আমরা এই পরিকল্পনা অব্যাহত রাখব। কারণ খেলোয়াড়দের সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য বিধি নিয়ন্ত্রন করাই আমাদের প্রথম লক্ষ্য।’