আজকের খেলা ডেস্ক:
সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হচ্ছে অক্টোবরে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) দেয়া সব শর্ত পালন করে চলছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। এসবের মধ্যে রয়েছে- এক বছর জাতীয় ফেডারেশন বা ফেডারেশনের অধিভুক্ত কোনো সংস্থার সুযোগ-সুবিধা নিতে পারবেন না তিনি। আর এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের ভার দেওয়া হয়েছে জাতীয় ফেডারেশন অর্থাৎ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)। নিষেধাজ্ঞার ১২ মাস কোনো ধরনের প্রতিযোগিতা বা চ্যারিটি ম্যাচও খেলা নিষেধ তার।
এই কঠিন শাস্তি ২০২০ সালের ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত পালন করে ক্রিকেটে ফিরতে হবে সাকিবকে। নিষেধাজ্ঞার সব শর্ত পূরণ করে প্রায় নয় মাস পার করে দিয়েছেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। সবকিছু ঠিক থাকলে আর তিন মাস পর ২৯ অক্টোবর জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিতে পারবেন তিনি। এর জন্য তিন মাস আগে থেকে ফেরার প্রস্তুতি শুরু করতে যাচ্ছেন সাকিব। বাঁহাতি এ অলরাউন্ডারের পারিবারিক ও গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ইংল্যান্ডে ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনুশীলনের ব্যবস্থা করেছেন তিনি।
গত বছর ১৩ সেপ্টেম্বর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় টি২০ সিরিজে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন সাকিব। এর পর থেকে খেলার বাইরে রয়েছেন। নিষেধাজ্ঞা আসন্ন জেনে ভারত সফরের জন্য জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দেননি। সে হিসেবে প্রায় সাড়ে ১০ মাস ক্রিকেট থেকে দূরে সাকিব। এত লম্বা বিরতির পর খেলায় ফিরতে যে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে, তা ভালো করেই জানেন তিনি। সেভাবে আটঘাট বেঁধে প্রস্তুতি পর্ব শুরু করতে যাচ্ছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তার ঘনিষ্ঠ একজনের কাছ থেকে জানা গেছে, ঈদের পর পরই প্রত্যাবর্তন মিশন শুরু করবেন ৩৩ বছর বয়সী মেধাবী এই ক্রিকেটার। ইংল্যান্ডে দুই মাস প্র্যাকটিস করলে ফিটনেস ও স্কিলে আগের ছন্দ ফিরে পাবেন বলে আশা তার।
বর্তমানে পরিবার নিয়ে আমেরিকায় আছেন সাকিব। উইসকনসিনে দুই কন্যাকে নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটে তার। যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও দেশে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছেন তিনি। ক্রিকেট সতীর্থদের খোঁজখবরও পৌঁছে যায় তার কাছে। ইংল্যান্ডে প্রস্তুতি নেওয়ার সময়ে জাতীয় দল সতীর্থ তামিম ইকবালের সঙ্গে দেখা হয়ে যেতে পারে সাকিবের। কারণ চিকিৎসা নিতে ২৫ জুলাই ইংল্যান্ড যাচ্ছেন বাঁহাতি এ ওপেনার। কোয়ারেন্টাইন মিলে লম্বা সময় লন্ডনে থাকতে হবে তাকে।
গত বছর ২৯ অক্টোবর নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত জাতীয় দলের তিনটি আন্তর্জাতিক সিরিজ মিস করেছেন সাকিব।