আজকের খেলা ডেস্ক:
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে আর্থিক অনটনে রয়েছেন ফুটবলাররা। খেলা না থাকায় অনেক ফুটবলারই বেছে নিয়েছেন ভিন্ন পেশা। পরিবারের সদস্যদের মুখে খাবার তুলে দিতে না পারায় অনেক ফুটবলার চরম হতাশায় দিন পার করছেন।
জাতীয় দলের কিছু ফুটবলার ছাড়া বাকি সবারই কষ্টের জীবন কাটছে। তার পরও টনক নড়েনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে)। আর্থিক দৈন্যদশায় থাকা ফুটবলারদের জন্য আলাদা কোনো পরিকল্পনা করেনি ঘরোয়া ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। উল্টো গতকাল হাস্যকর ফান্ড নিয়ে ফুটবলারদের সহযোগিতা করতে নিয়ে এসেছে আরকিউব ফাউন্ডেশনকে।
রোববার (৫ জুলাই) বাফুফে ভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মোট ১০০ জন বয়সভিত্তিক ফুটবলারদের (পুরুষ ৭০ ও নারী ৩০ জন) প্রত্যেককে মাত্র এক হাজার টাকা অনুদান হিসেবে দেওয়া হয়েছে। যা দিয়ে একজন ফুটবলারের পকেট খরচও হবে না। তার পরিবারকে সাহায্য করা তো দূরের কথা। এক হাজার টাকা অনুদানের সঙ্গে হ্যান্ড সেনিটাইজার ও গ্লাভস বিতরণ করেছে বাফুফে।
করোনাকালীন ফিফার কাছ থেকে পেয়েছে কোটি কোটি টাকা। সেই টাকা কোথায় খরচ হবে তার হিসাব-নিকাশেই সময় পার ঘরোয়া বাফুফের।
আর এই অবস্থায় না খেয়ে জীবন যাপন করছেন খেলোয়াড়রা। বাফুফের করোনা ফান্ডের টাকা পেতে পেতে দেখা গেল কোনো কোনো ফুটবলারের ক্যারিয়ারই শেষ হয়ে যাবে। করোনার মধ্যে যেখানে বলা হয়েছে যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে, সেখানে মাত্র এক হাজার টাকা দেওয়ার জন্য বয়সভিত্তিক এসব ফুটবলারকে ভবনে নিয়ে এসে সমালোচিত হচ্ছে বাফুফে। অবশ্য ফেডারেশন কর্তারা অনুদানের অঙ্কটা না বলে সুরক্ষা সামগ্রীর কথাটাই বেশি বলেছেন।
আর পুরুষ ও নারী ফুটবলারদের মুখ দিয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রশংসা করিয়েছেন। মাত্র এক হাজার টাকা করে ফুটবলারদের হাতে তুলে দেওয়াকে দেশের ফুটবলের জন্য লজ্জার উল্লেখ করে সাবেক তারকা ফুটবলার হাসানুজ্জামান খান বাবলু বলেন, ‘আমি জানি না, করোনাভাইরাসের এই দুর্যোগে একজন মানুষের এক হাজার টাকা দিয়ে কী হয়। বয়সভিত্তিক ফুটবলারদের দাম কি মাত্র এক হাজার টাকা? যেটা কিনা আবার উপহার নেওয়া হয়েছে একটি ফাউন্ডেশন থেকে। কীভাবে এমন লজ্জাজনক ঘটনাই ঘটাল বাফুফে। তাও আবার ফলাও করে প্রচার করছে। এটা আমাদের ফুটবলের জন্য লজ্জার বিষয়। আরে আমাদের মতো সাবেক ফুটবলারদের সংগঠনও করোনাকালে ২৫ জন কোচ ও ফুটবলারকে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা করে দিয়েছি। ফিফা থেকে করোনার জন্য কোটি কোটি টাকা পেয়েও আজ মাত্র এক হাজার টাকা করে অন্যদের কাছ থেকে নিয়ে ফুটবলারদের দিতে হয় বাফুফেকে। এরচেয়ে লজ্জার আর কিছুই নেই আমাদের।’