আজকের খেলা ডেস্ক:
দল নয় যারা কেবল খেলার সৌন্দর্যেরই ভক্ত, তাদের জন্য এক চমকার ম্যাচ উপভোগ্য ছিলো ম্যাচটি। একদিকে রোনালদো-দিবালা-বোনুচ্চিদের মতো তারকায় ঠাসা জুভেন্টাস, অন্যদিকে দৃষ্টিনন্দন ফুটবল উপহার দেয়া আতালান্তা। লড়াইয়ে শেষমেশ কেউই জেতেনি। ২-২ গোলে ড্র হয়েছে ম্যাচটা। শেষ মূহুর্তে পেনাল্টিতে গোল করে আতালান্তার কাছ থেকে জয় কেড়ে নিয়ে নিয়েছেন রোনালদো।
প্রথম থেকেই দুর্দান্ত খেলেছে আতালান্তা। দৃষ্টিনন্দন ফুটবল খেলার জন্য তাদের নামডাক কেন হয়েছে, প্রতিমূহুর্তে বুঝিয়ে দিয়েছে। তাদের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে জুভেন্টাসকে। ম্যাচের ষোল মিনিটেই আতালান্তাকে এগিয়ে দেন কলম্বিয়ার স্ট্রাইকার দুভান জাপাতা। আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার আলেকজান্ডার ‘পাপু’ গোমেজের সঙ্গে দুর্দান্তভাবে বলের আদান-প্রদান করতে করতে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে ঢুকে যান তিনি। পরে অসাধারণ প্লেসিংয়ে গোল করে বসেন।
গোল খেয়ে একটু আড়মোড়া ভেঙে ওঠে জুভেন্টাস। পাওলো দিবালার এক শট আটকে দেন আতালান্তার গোলরক্ষক পিয়েরলুইজি গোলিনি। তবে ঐটুকুই। প্রথমার্ধের অধিকাংশ সময়েই বলের দখল বেশি রেখেছে আতালান্তা। প্রথমার্ধ শেষে জুভেন্টাসের বলের দখল ছিল মাত্র ৪০ শতাংশ।
বিরতির পরে আস্তে আস্তে ম্যাচের দখল নিজেদের দিকে আনার চেষ্টা চালান রোনালদোরা। নিজেদের ডি-বক্সে অনিচ্ছাকৃতভাবে হাতে বল লাগিয়ে জুভেন্টাসকে পেনাল্টি উপহার দেন ডাচ মিডফিল্ডার মার্তেন ডে রুন। গোলার মত শটে ৫৫ মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান রোনালদো।
গোল দিয়ে একটু উজ্জীবিত হয়ে ওঠে জুভেন্টাস। ওদিকে ম্যাচের গতিপথ আবারও নিজেদের দিকে নেওয়ার জন্য নতুন দুই তারকা ইউক্রেনের মিডফিল্ডার রুসলান মালিনভস্কি ও কলম্বিয়ান স্ট্রাইকার লুইস মুরিয়েলকে মাঠে নামান কোচ জিয়ানপিয়েরে গাসপেরিনি। সুফলও পান হাতেনাতে। ডানপায়ের বুলেট শটে দলকে আবারও এগিয়ে দেন মালিনভস্কি। কিন্তু শেষদিকে এসে আবারও নিজেদের ডি-বক্সে বলে হাত লাগান মুরিয়েল।
এরপরন রোনালদোয় ভর করে এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে জুভেন্টাস।
এই ড্রয়ে লিগ শিরোপা জয়ের পথে আরেকটু এগিয়ে গেলেন রোনালদোরা। ৩২ ম্যাচ শেষে ৭৬ পয়েন্ট তাদের। শেষমূহুর্তে গোল খেয়ে সাসসুয়োলোর কাছে ২-১ গোলে হেরেছে দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাৎসিও। তারা আছেন ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে। এক পয়েন্ট কম নিয়ে আতালান্তা আছে তৃতীয় স্থানে।