আজকের খেলা ডেস্ক:
বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতিতি মানুষকে বিচিত্র অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে জীবন যাপন করতে বাধ্য করছে। তার মধ্যে বাদ যাচ্ছেন না খোলোয়াড়রাও। এ সময়ের ফুটবলের অন্যতম সেরা তারকা লিওনেল মেসি ঘুমাচ্ছেন এক বিশেষ ধরনের তোশকে। যেটি করোনাভাইরাস প্রতিরোধক।
বর্তমানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক, হেড ক্যাপ, গ্লাভস পরে করোনার প্রকোপ ঠেকানো যাচ্ছে না। ভাইরাস চলে এসেছে ঘরে। এই ভাইরাস থেকে বাঁচার এক নতুন উপায় বের করেছে বিজ্ঞানীরা- ‘করোনা প্রতিরোধক তোশক’। তাই বার্সা সুপারস্টার মেসি স্বয়ং এই তোশক ব্যবহার করছেন।
মেসি অবশ্য সেই তোশক কেনেননি। যে সংস্থা এই তোশক তৈরি করেছে তারাই বার্সলোনার তারকাকে এটি উপহার দিয়েছে। একইসঙ্গে উপহার পেয়েছেন সল নিগেজ ও সার্জিও আগুয়েরো। এই তোশক চার ঘণ্টার মধ্যে করোনার জীবাণু মারতে সক্ষম বলে দাবি করেছে প্রস্তুতকারক সংস্থা। ‘টেক মুন’ নামের সেই তোশকের উপর এখন মেসি ও তার পরিবারের সদস্যরা ঘুমাচ্ছেন। এই তোশক ৯৯.৮৪ শতাংশ করোনার জীবাণু ধংস করতে সক্ষম বলে দাবি করা হয়েছে।
যে সব দেশে করোনা মারাত্মকভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তাদের অন্যতম। তবে এখন সেখানে করোনার প্রকোপ কিছুটা কমেছে। তবুও ফুটবল তারকারা ঝুঁকি নিচ্ছেন না। মেসির এই তোশক নিয়েই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা চলছে। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মুন্দো দেপোর্তিভো জানিয়েছে, এই তোশকের সুতায় অতি সুক্ষ্ণ কণা। সেই কণা ভাইরাস মারতে সক্ষম।
করোনা আক্রান্ত কেউ এই তোশকে ঘুমালে তার শরীরে থাকা করোনার জীবাণু নাকি সব মরে যাবে। করোনার থেকেও পাঁচ গুণ ছোট জীবানুনাশক কণা ব্যবহার করে এই তোশক তৈরি করা হয়েছে। এই প্রতিরোধ ব্যবস্থার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভাইরাক্লিন’। এই তোশক প্রস্তুতকারক সংস্থার ব্র্যান্ড আম্বাসাডর হলেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ মিডফিল্ডার নিগেজ । তিনি বলেছেন, এই তোশকে শরীর এলিয়ে দিলে শুধু করোনাই মরবে না, দ্রুত সময়ে নাকি ঘুমিয়ে পড়া যাবে।