আজকের খেলা ডেস্ক:
কাগজে-কলমে যাই হোক, অস্ট্রেলিয়ায় আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যে এবার হচ্ছে না, এমন গুঞ্জন সর্বত্র। তাই এরই মধ্যে ভেতরে ভেতরে নিজেদের ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আইপিএল আয়োজনের দিকেই মনোযোগী ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। তবে টুর্নামেন্টটি ভারতে না করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে করার পরিকল্পনা করছে বোর্ডটি। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতকেই ভেন্যু হিসেবে চূড়ান্ত করার পক্ষে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। এমনকি আইপিএলের দিনক্ষণও ঠিক করে রেখেছে বিসিসিআই।
ভারতীয় গণমাধ্যমের কয়েকটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বিসিসিআই আইপিএলের স্থগিত আসরটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে এবং সেটা হবে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত।
এর আগেও ২০১৪ সালে ভারতে সাধারণ নির্বাচনের কারণে আইপিএলের কিছু অংশ হয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতে। তাই আরব আমিরাতে আইপিএল আয়োজনের পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকেই সবাই এর পক্ষে মত দিয়েছেন।
তবে আরব আমিরাতকে ভেন্যু হিসেবে বেছে নেওয়া হলেও সেখানে দর্শক প্রবেশাধিকার থাকবে না। করোনার কারণে সব কটি ম্যাচই হবে ‘ক্লোজডোর’। এতে অবশ্য কোনো সমস্যা দেখছে না দলগুলো। আইপিএলের একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক বলেন, ‘এটা কোনো সমস্যা নয়। আইপিএল মূলত টিভির জন্যই। যদি দর্শক আসেও, গেট থেকে তেমন বেশি আয় হয় না।’
আরব আমিরাতে আইপিএল আয়োজনের আরেকটি সুবিধা হলো দুবাই, শারজাহ ও আবুধাবি স্টেডিয়ামের দূরত্ব খুব বেশি নয়। ফলে করোনা ঝুঁকি এবং খেলোয়াড়দের আনা নেয়ার ঝক্কি অনেকটাই কম হবে।
দুবাই স্পোর্টস সিটির হেড অব ক্রিকেট অ্যান্ড ইভেন্টস সালমান হানিফ বলেন, ‘স্টেডিয়ামে নয়টি উইকেট আছে, যদি বেশি ম্যাচ আয়োজন করতে হয় তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটা সম্ভব। আর উইকেট ফ্রেশ রাখতে আমরা এখানে (আপাতত) কোনো ম্যাচ আয়োজন করব না।’
তারিখ মোটামুটি ঠিক হয়ে গেলেও আইপিএলের ১৩তম আসরটির চূড়ান্ত সূচি আসতে পারে আগস্টের প্রথম সপ্তাহে। যেসব ভারতীয় ক্রিকেটার আইপিএলে খেলবেন, তাদের পাঁচ সপ্তাহের ট্রেনিং ক্যাম্প হবে। এই ক্যাম্প শুরু হবে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে।