আজকের খেলা ডেস্ক:
ডার্বিতে ঘরের মাঠ কাম্প নুয়ে বুধবার (৮ জুলাই) রাতে টেনেটুনে জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। স্প্যানিশ লা লিগায় এস্পানিওলকে ১-০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে বার্সা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দুই লাল কার্ডের নাটকীয়তার পরপরই একমাত্র গোলটি করেন সুয়ারেজ।
ম্যাচ জেতানো গোলটির মাধ্যমে বার্সেলোনার ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা বনে যান লুইস সুয়ারেজ। নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে বার্সেলোনার এটি শততম জয়।
এস্পানিওলের ছুড়ে দেওয়া চ্যালেঞ্জে শঙ্কাও জেগেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত জয় তুলে নিয়েছে বার্সেলোনা। এতে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ব্যবধান ১ পয়েন্টে নামিয়ে এনেছে কিকে সেতিয়েনের দল।
অবনমনের শঙ্কায় দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া এস্পানিওল শুরুটা করেছিল ভালোই। প্রতি-আক্রমণে দশম মিনিটে প্রতিপক্ষের রক্ষণে ভীতি ছড়ায় তারা। গতিতে ডিফেন্ডারদের পেছনে ফেলে ডান দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে আদ্রি এমবার্বার নেওয়া শট পা দিয়ে ঠেকান মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন।
২৩ মিনিটে মেসির বাঁকানো ফ্রি-কিক ক্রসবারের একটু ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। দুই মিনিট পর অঁতোয়ান গ্রিজমানের দারুণ থ্রু পাস ধরে দ্রুত ডি-বক্সে ঢুকে পড়লেও শট নিতে দেরি করে ফেলেন সুয়ারেস।
প্রথমার্ধে বার্সেলোনার পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। লক্ষ্যে রাখতে পারেনি একটি শটও। ৪৩ মিনিটে প্রতিপক্ষের আরেকটি প্রতি-আক্রমণে আবারও ফুটে ওঠে তাদের রক্ষণের দুর্বলতা। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে উল্টো নিজেদের জালে পাঠাতে বসেছিলেন ক্লেমোঁ লংলে। বল সরাসরি টের স্টেগেনের গায়ে লাগে, আলগা বল পেয়ে দিদাক ভিলার শট পোস্টে লাগলে আরেক দফা বেঁচে যায় স্বাগতিকরা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে নেলসন সেমেদোর বদলি হিসেবে মাঠে নামার পাঁচ মিনিটের মাথায় বহিষ্কার হন আনসু ফাতি। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার ফের্নান্দো কালেরোকে ফাউল করে শুরুতে হলুদ কার্ড দেখেন বার্সেলোনার এই ফরোয়ার্ড। তবে ভিএআরে দেখে সরাসরি তাকে লাল কার্ড দেখান রেফারি।
তিন মিনিট পর ঠিক একইভাবে এস্পানিওলের মিডফিল্ডার পল লোসানোও লাল কার্ড দেখেন। জেরার্দ পিকেকে ফাউল করায় শুরুতে হলুদ কার্ড পেয়েছিলেন তিনি; তবে ভিএআরের সাহায্যে সিদ্ধান্ত বদলে তাকে বহিষ্কার করেন রেফারি।
নাটকীয় মোড় নেওয়া লড়াইয়ে ৫৬ মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোল পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। গ্রিজমানের ব্যাকহিলে বল পেয়ে মেসির নেওয়া শট প্রতিহত হওয়ার পর আলগা বল ফাঁকায় পেয়ে জালে পাঠাতে ভুল হয়নি সুয়ারেসের।
৬৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারত; তবে মেসির জোরালো শট রুখে দেন গোলরক্ষক দিয়েগো লোপেস।
যোগ করা সময়ে বার্সেলোনার রক্ষণে চাপ বাড়ায় এস্পানিওল। ৯১ মিনিটে সের্হি দারদেরের শট আর্তুরো ভিদালের কাঁধের কাছাকাছি জায়গায় লাগলে পেনাল্টির আবেদন করে সফরকারীরা। ভিএআরের সাহায্য নিয়ে তাতে সাড়া দেননি রেফারি।
শেষ মিনিটে তারা ভালো একটি সুযোগ নষ্ট করলে জয়ের হাসিতে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা। আর অবনমনের কষ্টে এস্পানিওল। ৩৫ ম্যাচে পাঁচ জয় ও নয় ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ২৪।
৩৫ ম্যাচে ২৩ জয় ও সাত ড্রয়ে বার্সার পয়েন্ট হলো ৭৬। এক ম্যাচ কম খেলা রিয়ালের পয়েন্ট ৭৭।