আজকের খেলা ডেস্ক:
গত মাসের শেষের দিকে ইংল্যান্ডে পা রাখে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। তিনটি টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ খেলতে বর্তমানে ইংল্যান্ড সফর করছে দলটি। দেশ ছাড়ার আগে সিরিজ জয়ের স্বপ্নের কথা জানিয়েছিলেন পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়ক আজহার আলী ও টি-টোয়েন্টি দলপতি বাবর আজম। কিন্তু পাকিস্তানের স্পিনার সাইদ আজমল মনে করেন, ইংল্যান্ডের মাটিতে একটি ম্যাচও জিততে পারবে না জাতীয় দল। তার মতে ইংল্যান্ড সফরে পাকিস্তান একটি ম্যাচ জিতলেও তা হবে ‘মিরাকল’!
১৯৯৬ সালে সর্বশেষ ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল পাকিস্তান। এরপর পাঁচটি টেস্ট সিরিজের মধ্যে দুটিতে হার ও তিনটি ড্র করে। এই পাঁচটি সিরিজে ১৬ ম্যাচের মধ্যে পাঁচটি টেস্ট জিতেছিল পাকিস্তান। ইংল্যান্ডে মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষীক সিরিজের পরিসংখ্যান আরও খারাপ। ইংল্যান্ডের মাটিতে ইংলিশদের বিপক্ষে ১৯৭৪ সালে একবার সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে পাকিস্তান।
তবে ইংল্যান্ডের মাটিতে ওয়ানডে ফরম্যাটে পাকিস্তানের গর্ব করার মতো সাফল্য রয়েছে। ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে হওয়া আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতে পাকিস্তান। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার এক বছর আগে সর্বশেষ ইংল্যান্ডের মাটিতে এক ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও তারা জয় পেয়েছিল।
এসব পরিসংখ্যান ও বর্তমানের দলের শক্তির বিচারে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাকিস্তান একটি ম্যাচও জিততে পারবে না বলে জানালেন আজমল। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান দলটি তারুণ্য নির্ভর । তাদের অভিজ্ঞতা খুবই কম। পাকিস্তানের জন্য ইংল্যান্ডের মাটিতে সিরিজটা কঠিনই হবে। যদি পাকিস্তান সখানে একটা ম্যাচও জিতে হবে তা হবে মিরাকল।’
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে ইংল্যান্ডের মাটিতেপাকিস্তান একটি ম্যাচও জিততে পারবেন না-এমনটা আজমলের মনে হলেও, দলের জন্য প্রার্থনা করতে ভুল করেননি তিনি, ‘একজন পাকিস্তানি হিসেবে, আমি প্রার্থনা করি, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে যেন জাতীয় দল ভালো পারফরম্যান্স করে। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে সাফল্য নিয়ে দেশে আসতে পারে।’
ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের বড় রান করতে হবে। তবেই দলের সাফল্য মিলবে বলেও জানান আজমল। তিনি বলেন, ‘ইংল্যান্ডের কন্ডিশন সব সময়ই কঠিন হয়। তবে ইংল্যান্ডে সাফল্য পেতে হলে আমাদের দলের ব্যাটসম্যানদের বড়-বড় ইনিংস খেলতে হবে। বোলারদের নিয়ে সমস্যা হবে না। আমাদের দলের বোলাররা ভালো পারফরমেন্স করতে সক্ষম হবে। কিন্তু ব্যাটসম্যানরা কখনোই ভালো করতে পারে না। এবারের তরুণ দলকে বড় পরীক্ষায় পড়তে হবে।’
আগামী ৫ আগস্ট ম্যানচেস্টারে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলতে নামবে পাকিস্তান। এরপর ১৩ ও ২১ আগস্ট সাউদাম্পটনে হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্ট। ২৮ আগস্ট শুরু হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। পরের দুটি টি-টোয়েন্টি হবে ৩১ আগস্ট ও ২ সেপ্টেম্বর।