আজকের খেলা ডেস্ক:
শচীন টেন্ডুলকারকে একটি সেঞ্চুরি দিয়ে আবার একটি সেঞ্চুরি কেড়ে নেন ২০০৪ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত টানা পাঁচ বছরের আইসিসির বর্ষসেরা আম্পায়ার হওয়ার কীর্তির রেকর্ড গড়া অস্ট্রেলিয়ার সাইমন টোফেল। তার একাধিক ভুল সিদ্ধান্তের কারণে এমনটি ঘটে।
মাঠে তার ভুল সিদ্ধান্তের কারণে একবার সেঞ্চুরি পেয়ে যান ভারতের ব্যাটিং লিজেন্ড শচীন টেন্ডুলকার। আবার টোফেলেরই অন্য এক ভুল সিদ্ধান্তে সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয় শচীনের।
সম্প্রতি ভারতের ক্রিকেট বিশ্লেষক গৌরব কাপুরের সঙ্গে ইউটিউব শোয়ে সেই দুই ভুলের কথা স্বীকার করে বক্তব্য দিয়েছেন সাইমন টোফেল।
ইতিহাসের সেরা এ আম্পায়ার এক গাল হেসে বলেছেন, ২০০৭ সালে ট্রেন্টব্রিজে শচীনের সেঞ্চুরি ছিনতাই করেছি আমি। কিন্তু এর দুই বছর আগে শ্রীলংকার বিপক্ষের ম্যাচে আমারই ভুলে সেদিন সেঞ্চুরি করেছিল শচীন। সেই সময়ের লংকান কোচ টম মুডি ওই সিদ্ধান্তের কারণে আমার ওপর বেশ নাখোশ হয়েছিলেন।
স্মৃতিচারণ করে সাইমন টোফেল বলেন, শচীনের বিপক্ষে ২০০৭ সালে ওই সিদ্ধান্তের পর আমি যখন বুঝতে পারি সেটি ভুল ছিল, সেদিন থেকে বেশ কয়েক দিন আমি আর ক্রিকইনফো খুলিনি, কোনো খবরের কাগজও পড়িনি। আমি বুঝতে পারছিলাম, আগামী এক মাস মিডিয়াতে আমাকে তুলাধোনো করা হবে।
সিদ্ধান্তের ব্যাপারে টোফেল বলেন, ‘ট্রেন্টব্রিজে সেদিন শচীন বল না খেলে ছেড়ে দেয়, তাই বেনেফিট অব ডাউট বোলারের পাওয়া উচিত। সেটি মনে করে আঙুল তুলে দিই। এ সিদ্ধান্তে শচীন নিজের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে। কারণ ৯১ রানে খেলছিল সে। সাধারণত সে উইকেটে দাঁড়িয়ে থাকে না; কিন্তু সেদিন কিছুক্ষণ দাঁড়িয়েছিল। আমার দিকে হতাশ দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল। কিন্তু ম্যাচশেষে হকআইতে দেখলাম– বলটা স্টাম্পে না লেগে অফ স্টাম্প থেকে এক ইঞ্চি দূর দিয়ে চলে যেতে।’
এর পর টোফেল বলেন, শচীনের সঙ্গে এর আগেও ভুল সিদ্ধান্ত দিয়েছিলাম। তবে সেটি তার পক্ষে ছিল। ২০০৫ সালের দিল্লি টেস্টে ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে ভারত ও শ্রীলংকার মধ্যকার একটি ম্যাচ পরিচালনা করছিলাম। ইনিংসের শুরুতেই শচীনের পায়ে লাগে এবং আমি তাকে নটআউট দিই। পরে সে রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরি করে ফেলে। কিন্তু সেটি এলবিডব্লিউ ছিল।